চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নিহতদের মরদেহ দাফন এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
নিহতরা হলেন—সীতাকুণ্ডের জাহানাবাদ ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের শামছুল আলম (৫৬), একই উপজেলার বিএমএ গেট এলাকার বানু বাজারের ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া গ্রামের রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলার আলিপুর গ্রামের মো. আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার চরলরেঞ্জ গ্রামের মো. সালাউদ্দিন (৩৩)। তবে, নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, চট্টগ্রামের সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন কারখানার এই দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক)হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ।
হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বিস্ফোরণের পর প্ল্যান্টে আগুন ধরে যায়। ক্রমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।
সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদৎ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৬ জন নিহতের খবর পেয়েছি।