আলোচিত পানামা পেপার্স ফাঁস হয়ে যাওয়া অফশোর অ্যাকাউন্টের তথ্যের একটি তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।
offshoreleaks.icij.org ঠিকানায় জিএমটি সময় ১৮:০০ টা থেকে এই তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশে পর অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আই সি আই জে বলছে, এই ডেটাবেজে উল্লেখিত সবাই যে অবৈধ কাজ করেছে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে অনেকে কর ফাঁকি বা আর্থিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করতে পারে।
আইনি প্রতিষ্ঠান মোজাক ফনসেকার ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি, পানামা পেপার্সের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে চিত্রতারকা এবং তারকা খেলোয়াড়দেরও গোপন সম্পদের খবর ফাঁস হয়ে যায়।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে দুই লাখের বেশি কোম্পানি ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিআইজে।
ওই ওয়েব ঠিকানায় বাংলাদেশ লিখে খোঁজ করে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি এ-সম্পর্কিত মূল নথিও।
আইসিআইজের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাক ফনসেকার নথিতে বিশ্বের ২০০টি দেশের ২ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তির টাকা পাচারের নথি আছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে ১৪০ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাজনীতিকের নাম রয়েছে।
জার্মান একটি পত্রিকার কাছে ‘জন ডো’ নামে পরিচিত একটি সূত্র এই তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এই তথ্য প্রকাশ করে।
তবে মোজাক ফনসেকা দাবী করছে, তারা বেআইনি কোন কাজ করেনি। তথ্য প্রকাশ না করার জন্য গত সপ্তাহে আই সি আই জের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল মোজাক ফনসেকা।
মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁসের খবর পাওয়া যায় গত ৪ এপ্রিল। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পেয়েছে। বিবিসি