প্রথম ধাপে দেশের ৩৪টি জেলার ৭১৭ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এতে প্রায় সোয়া কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
নির্বাচনে ৬,৯৮৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৩,০৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত পদে ৭,৫৭৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫,৮৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের ৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা । এছাড়া নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ফোর্স মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তৃণমূলের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে নির্বাচন হচ্ছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ১৪টি দল প্রার্থী দিয়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছে প্রায় ৩,০০০ সাংবাদিক ও কয়েক হাজার পর্যবেক্ষক। তবে এবার কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি।
ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ঘোষণা দিয়েছেন, ভোট কারচুপি হলে বা কোনো অনিয়ম হলে তার জন্য দায়ী করা হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের।
এবার ছয় ধাপে দেশের নির্বাচন উপযোগী প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।