ব্যস্ত সময়ে আপনি চান বা না চান, সকলের শরীরে চক্সিন অবাধে প্রবেশ করছে। কখনও তা প্রসাধনী থেকে, কখনও খাবার, কখনও বা নিঃস্বীসের সঙ্গেই ঢুকে পড়ছে শরীরে। বিভিন্ন টক্সিনের প্রভাবে শরীরের নিত্যদিনের কাজে সমস্যা তেরি হয়। দেখা যায় নানা উপসর্গ। শরীর আপনাকে জানিয়ে দেবে, শরীরে বিষের বাসা তৈরি হয়েছে। এই বিষ কী ভাবে শরীর থেকে বার করবেন, জানাচ্ছি আমরা।
১. পরিমিত পানি খান: পানি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। জলই শরীরের ভেতরটা দুয়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । তাই পরিমিত জল খাওয়া ভীষণ দরকার্ আর হ্যাঁ, যেখানে সেখানে পানি কাওয়ার আগে ভেবেচিন্তে খান। কারণ আপাতপক্ষে দেখতে স্বচ্ছ হলেও তাতে প্রচুর ক্ষতিকারক জিনিস থাকতে পারে। এমনক িযে জল আপনার বাড়িতে পািইপলাইনের মাধ্যমে আসছে, তাতেও টক্সিন থাকা আশ্চর্যের নয়। ফলে জল পরিশ্রুুত করে তবেই পান করুন।
২. প্রসাধনীর দিকে খেয়াল রাখুন: সাবান থেকে শ্যাম্পু, মেকআপের যাবতীয় জিনিস ব্যবহারের আগে ভালো করে পড়ে নিন। তাতে টক্সিন থাকাটা আশ্চর্যের নয়। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময়ও এই খেয়াল রাখতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাজারে মেলা বেশিরভাগ সানস্কিনে টক্সিনযুক্ত পদার্থ থাকে।
৩. কসরত করুন রোজ: কসরত বা ব্যায়াম করলে শরীর থেকে যে ধাম নির্গত হয়, তাতে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। মনে রাখবেন, ত্বক টক্সিন বার করার ক্ষেত্রে কুব ভালো কাজ করে।
৪. প্লাস্টিক বন্ধ: বোতল হোক বা প্লেট, প্লাস্টিক ব্যবহার একেবারের বন্ধ করে দিন। এমনকী টেফলনের পাত্রে রান্না করা বা খাবার রাখাও ক্ষতিকারক। তার বদলে স্টিলস কাস্ট াায়রন বা চিনে মাটির পাত্র ব্যবহার করুন।
৫. তেল পাল্টান: রান্নার তেলও চক্সিনের অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে। তাই রান্নার তেল কেনার সময় খেয়াল রাখুন। আরও একটি ব্যাপার মনে রাকতে হবে। একবার ব্যবহৃত তেল ফেল ব্যবহার করা অত্যন্ত খারাপ। কারণ ব্যবহৃত তেল অক্সিডাইজড হয়ে গেলে তা চক্সিনে রূপান্তরিত হয়। নারকেল রান্নায় ব্যবহার করা খুবই উপকারি।
৬. ভালো করে ধুয়ে তার পর রান্না: এখন চাষের সময়ই প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকের প্রয়োগ হচ্ছে। ফলে খাবারের সঙ্গে অবলীলায় তা শরীরে ঢুকে পড়ছে। যে কোনও ফল বা সব্জি খাওয়ার আগে তা ভালো করে ধুয়ে নিন। সব থেকে বালো হয়, তা যদি কেটে পরিস্কীর জলে ভিজিয়ে রাখেন। এতে সব্জি বা ফলের মধ্যে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। তার সঙ্গে বাসন ধোয়ার দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। যে সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে তা মাজা হচ্ছে তাতেও চক্সিন থাকতে পারে। তাই খুব ভালো করে জলে ধুয়ে নেওয়া ভালো।
৭. এয়ার ফ্রেশনার বৈ বৈ চ: বাজারে যে সব এয়ার ফ্রেশনার বা সেন্টেট ক্যান্ডেল পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশিরভাগের মধ্যেই চক্সিন থাকে। তার বদলে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটা শরীরে পক্ষেও ভালো এবং কোনও ক্ষতিও করে না।
৮. ঘরের মধ্যে গাছ: প্রাকৃতিকভাবে ঘরের বাতাস পরিস্কার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাছের কোনও বিকল্প নেই। এমন গাছ গরের মধ্যে এনে রাখুন। ঘরের মধ্যে থাকা টক্সিন অনেকটা কমে যাবে।
৯. মাইক্রোওয়েভের ব্যবহার কমান: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায়। ব্রকোলি যদি মাইক্রোওয়েভে রান্না করা হয়, তা হলে তার ৯৭ শতাংশ খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সিদ্ধ করা ব্রকোলিতে ১১ শতাংশ নষ্ট হয়। রসুনের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। ফলে সুস্থ আহারের জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন।