আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার বিকালে (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী) হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বুধবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলের উপর আক্রমণে প্ররোচিত করে বিদ্রোহের উৎসাহ যোগানোর অভিযোগ তোলেন। চূড়ান্ত ফলাফলে অভিশংসনের পক্ষে ২৩২টি ভোট পড়ে বিপক্ষে পড়ে ১৯৭টি। দশজন রিপাব্লিকান অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
আমেরিকায় এক মিনিটে তিন জনের মৃত্যু
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পকে “স্বাধীনতা, স্ব-সরকার এবং আইনের শাসনের” জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন। তবে ওহাইওর কংগ্রেস সদস্য কট্টর ট্রাম্প সমর্থক জিম জর্ডান বলেন, অভিশংসন “দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে না। এই সবই রাজনীতি সম্পর্কিত।” তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিরা, ” প্রেসিডেন্টকে বাতিল করতে চান।”
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটদের অধীনে যথেষ্ট ভোট ছিল। প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাট সেনেটর চাক স্কুমার বলেছেন, “ট্রাম্পই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যাঁকে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হল। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের মতো সেনেটকেও বিষয়টি কার্যকর করতে হবে।’’ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের জন্য ভোটাভুটির বিষয়টি স্পষ্ট হতেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল রিপাবলিকানরা কী করেন তা নিয়ে। সকলের আগ্রহ ছিল ক’জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দেন। ভোট শেষে জানা গিয়েছে, মোট ১০ জন রিপাবলিকান ট্রাম্পের অপসারণ চেয়ে ভোট দিয়েছেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটের ফল ২৩২-১৯৭। এ বার বিষয়টি উঠবে সেনেটে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর দাঁড়াতে পারবেন না ট্রাম্প।