ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি অনেকটা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। বিকাল ৩ টা নাগাদ উপকূল এবং সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের সিতওয়ের নিকট দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হবার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্র এবং হোটেল, রিসোর্টসহ সব জায়গায় অন্তত আড়াই লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এই মানুষদের প্যাকেটজাত রান্না করা খাবারসরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমার আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন স্টর্ম’ মোখা সিতওয়ে অতিক্রম করা শুরু করেছে। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ মাইল, যা ১৩৭ মাইল পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই, ওয়াইফাই সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এখন শুধু মোবাইল ডাটাই কাজ করছে মিয়ানমারে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান এখন মিয়ানমারের সিতওয়ে থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং কক্সবাজার থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে। ঘূর্ণিঝড়টি যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি।