প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর সরকারি চাকরিতে 'কোটা' পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একইসাথে কোটা পদ্ধতির 'যৌক্তিক' সংস্কারও দাবি করেছে জোটটি।
রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিজেদের অবস্থান জানায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক রাগীব নাঈম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। অথচ ৫৩ বছর পরও বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা জারি রাখার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মর্মবস্তুকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার মধ্য দিয়ে সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের প্রকৃত সুফল থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কোটা প্রথা বাতিল করাকে আমরা (গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট) সমাধান মনে করি না। রাজনৈতিক স্বার্থে দীর্ঘকাল অস্বাভাবিক মাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা যেমন বৈষম্য তৈরি করেছে, তেমনি অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর প্রাপ্য কোটা বাতিলের মধ্য দিয়েও সামাজিক বৈষম্য প্রকট হবে।
তাই অনুন্নত জনপদ, অনগ্রসর জাতিসত্তা ও বঞ্চিত শ্রেণীর (কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর ইত্যাদি) সন্তানদের জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতা আদায় করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট দুটি দাবি তুলে ধরে। 'বৈষম্যমূলক' মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল ও নারী, অনুন্নত জনপদ, অনগ্রসর জাতিসত্তা ও বঞ্চিত শ্রেণীর জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা নিশ্চিত করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তওফিকা প্রিয়া প্রমুখ।