ঢাকা | |

সামরিক বাহিনীর অভাব পূরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের প্রচেষ্টা জাপানের; আমেরিকা কি অনুমতি দেবে?

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সামরিক জনবল ঘাটতি মেটাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন এবং সামরিক বাহিনীর অবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করার
  • আপলোড সময় : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সকাল ৯:৫৬ সময়
  • আপডেট সময় : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সকাল ৯:৫৬ সময়
সামরিক বাহিনীর অভাব পূরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের প্রচেষ্টা জাপানের; আমেরিকা কি অনুমতি দেবে?
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সামরিক জনবল ঘাটতি মেটাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন এবং সামরিক বাহিনীর অবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সেস (SDF) বার্ষিক নিয়োগের সবচেয়ে খারাপ পরিসংখ্যান ঘোষণা করার পর তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

SDF চলতি বছরের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও কম নৌ-সেনা, বিমান বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের এই সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫০ শতাংশই কম৷

এই প্রতিবেদন অনুসারে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আশঙ্কা করছেন যে চীন তার সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাইওয়ানে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। এইভাবে তার দেশকেও যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ২০২২ সালে তাই জাপান ক্ষেপণাস্ত্র এবং অস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করেছে। এর পাশাপাশি আরেকটি সাইবার প্রতিরক্ষা শাখা তৈরির পাশাপাশি উন্নত ফাইটার জেট কেনারও ঘোষণা দিয়েছে।

জাপানে জন্মহারের সংখ্যাও কমে গেছে। যার ফলে সামরিক বাহিনীর সংখ্যা আড়াই লাখের স্তরে বজায় রাখতে বিভিন্ন রকমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ কমানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। আগামি বছর সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নজরদারি ব্যবস্থায় ১৮ বিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন সময় এই পরিকল্পনা করলো যখন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দাম এ বছর বিগত চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইতিহাসে এটা জাপানের সামরিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় রকমের পরিবর্তন।

বর্তমানে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের অবমূল্যায়নের ফলে জাপানের জন্য হেলিকপ্টার, সাবমেরিন এবং ট্যাঙ্ক সহ সামরিক সরঞ্জাম আমদানির খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এসব সামরিক সরঞ্জামের বেশিরভাগই আমেরিকার।

জাপান সামরিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এই প্রশ্নটি এখন দেশটির সামরিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে উত্থাপিত হয়, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে আমেরিকা টোকিওর হাত কতটা খোলা রাখবে?
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: স্টাফ রির্পোটার।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
সুখবর দিলো মালয়েশিয়া, চালু করল কলিং ভিসা

সুখবর দিলো মালয়েশিয়া, চালু করল কলিং ভিসা