বাংলাদেশে কীভাবে কখন নতুন নির্বাচন হবে, অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন বহাল থাকবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কূটনীতিক।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস-বিষয়ক উপমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মা। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত উত্তরণকে সমর্থন করা সকলের স্বার্থেই দরকার। বাংলাদেশে কীভাবে কখন নতুন নির্বাচন হবে, আর এই অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন বহাল থাকবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক মার্কিন চিন্তন প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউটে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। পরে তিনি প্রশ্নের জবাব দেন। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রিচার্ড ভার্মা বলেন, ‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, আইনসম্মত উত্তরণকে সমর্থনের চেষ্টা করা। আমি মনে করি, এতেই সবার স্বার্থের সুরক্ষা রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনীতিক বলেন, এটি একধরনের দৈনন্দিন পদ্ধতি। কারণ, আশা করা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। জনগণের মৌলিক অর্থনৈতিক সেবাগুলোও পুনরুদ্ধার হয়েছে। রিচার্ড ভার্মা বলেন, যেকোনো বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে আক্রমণ উদ্বেগজনক। এগুলোকে বেশ গুরুত্বসহকারে নিতে হবে।
গত রোববার ঢাকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল। জনগণের জন্য আরও ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের আশ্বাস দিয়েছে প্রতিনিধিদল।
এদিকে রোববারই বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। এই অর্থ উন্নয়ন, যুব ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, স্বাস্থ্যের উন্নতি ও জনগণের বাণিজ্য-অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য দেওয়া হবে।