সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি বলেছেন, পোস্টার চিত্র ও এতে লেখা বিভিন্ন স্লোগান, বাণী, বক্তব্য মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের উজ্জীবিত করেছে, আলোড়িত করেছে। তাছাড়া এটি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও আমাদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে। পোস্টার আমাদের রাজনৈতিক ও সমাজ জীবনকে বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদিও যুগের প্রয়োজনে পোস্টারের রূপ বদলেছে, আরো আধুনিক হয়েছে।
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'পোস্টার প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী ২০২২' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিল্পতাত্ত্বিক অধ্যাপক আবুল মনসুর, বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক ও শিল্প লেখক মইনুদ্দীন খালেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পোস্টার প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আকতারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা তাবাসসুম।
পোস্টার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী। প্রতিযোগিতায় নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৭৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ চিত্র প্রদর্শনী চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ এবং নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউট।
উল্লেখ্য, পোস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদিশা অধিকারী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া নিশাত ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জান্নাতুল সায়মা। এছাড়াও বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুন নাহার পিয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হামি ফায়রুজ হিমতী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তি খানম।