
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে আনা বিদেশি সিগারেট ও স্মার্ট মোবাইল ফোন জব্দ করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বিত দল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে আগত একটি ফ্লাইটের দুইজন যাত্রীর কাছ থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ওমানের মাস্কাট থেকে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ফ্লাইটটিতে চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা দিলিপ দাশ এবং ফটিকছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম কাস্টমস হল দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল তাদের তল্লাশি করে।
তল্লাশিতে যাত্রীদের ব্যাগেজ থেকে মোট ৫৩৬ কার্টুন (যার বাজারমূল্য ১৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা) বিদেশি সিগারেট এবং ৮টি স্মার্ট মোবাইল ফোন (যার বাজারমূল্য ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা) উদ্ধার করা হয়। জব্দ পণ্যের মোট বাজারমূল্য ২৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
এই চোরাচালান প্রচেষ্টার মাধ্যমে সরকারের প্রায় ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা রাজস্ব আয় ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করায় এসব পণ্য জব্দ করা হয়। তবে আটক যাত্রী দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌখিকভাবে সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চোরাচালান রোধে এবং রাষ্ট্রের রাজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর কাস্টমস ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যৌথ অভিযান এবং নজরদারি অব্যাহত থাকবে।