গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি ফ্ল্যাট থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় নিহতের স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ভোরে কোনাবাড়ি থানাধীন বাইমাইল এলাকার নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার স্থানীয় একতা টাওয়ার থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রহিমা খাতুন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার আমতৈল গ্রামের কসাই এমরান হোসেনের স্ত্রী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় কসাই ইমরান তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও মেয়ে শারমিনকে নিয়ে বাইমাইল এলাকায় একতা টাওয়ারের ৫ম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়ায় বসবাস করতেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা ওই বাসায় প্রবেশ করে ইমরান ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত এমরানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ও মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিআইপি, সিআইডিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর তল্লাশি চালালে স্বামী এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। তাই তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷