বিএনপি-জামায়াতের টানা ষষ্ঠবারের মতো ডাকা হরতালের প্রথম দিন আজ রোববার (১৯ নভেম্বর)। হরতাল পালনকারীরা রাজপথে না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি আছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে।
দূরপাল্লার বাসগুলো ভোররাতেই সাতক্ষীরায় পৌঁছে যায়। দু-একটি পরিবহনের বাস ছাড়া ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ছে না সাতক্ষীরার দূরপাল্লার বাসগুলো।
ইমাদ পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জয়ন্ত দাস বলেন, হরতাল অবরোধের পূর্বে আমাদের প্রচুর বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত কিন্তু বর্তমানে যাত্রী না থাকার কারণে আমাদের সারাদিনে অল্প কিছু সংখ্যক বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
গ্রীনলাইনে কর্মরত জসীম মোল্লা জানান, হরতাল অবরোধের কারণে সারাদিন যাত্রী না থাকার কারণে আমাদের বাসগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারে না। রাতে একটা গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও অল্প কয়েকজন যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গাড়ি ছাড়তে হয়।
ইজিবাইক চালক জাকির হোসেন জানান, সেই ফজরের নামাজের পর রোড়ে এসেছি। ভোর থেকে কোন ভাড়া হয়নি। জিনিস পত্রের প্রচুর দাম সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডাল, আলুভর্তা খেয়েও জীবন কাটানো কঠিন এখন।
বিএনপি- জামায়াতের টানা এই হরতাল-অবরোধে ভালো নেই ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ইজিবাইক চালক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। নিত্য পণ্যের দাম যেন তাদের গলার কাটা হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ বলছে হরতাল অবরোধের কারণেই এই বাজারের এই অস্থির দামের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর চাপ পড়ছে আমাদের মতো খেটে খাওয়া দিনমজুরের ঘাড়ে।