ঢাকা | |

ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান সহিংসতার বিপক্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৫
  • আপলোড সময় : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, বিকাল ৫:৫ সময়
  • আপডেট সময় : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, বিকাল ৫:৫ সময়
ফিলিস্তিনের পক্ষে কুবি শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান সহিংসতার বিপক্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে গোল চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তারা। সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন। ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল নিপাত যাক, আল আকসা থেকে নামাজের দিক পরিবর্তন করেছি মনের দিক না, যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট, ফুল তুই তেলাবিবে বোমা হয়ে ফুট, আল আকসায় হামলা কেন জবাব চাই, আমরা আত্মসমর্পণ করব না আমরা জয়ী হব অথবা মৃত্যুবরণ করব, ফিলিস্তিন আমাদের হৃদয়ে আছে, আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছি, বিশ্বের মুসলিম এক হও, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলো, আল আকসা আমাদের, সকল মুসলিম এক হও, গাজা স্বাধীন হোক ফিলিস্তিন স্বাধীন হোক, গাজাকে রক্ষা করুন মানবতাকে রক্ষা করুন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন, মানবতা রক্ষায় আপনার কণ্ঠস্বর উঁচু করুন, আমাদের আকসা আমাদের ফিরিয়ে দিতেই হবে, তুমি কখনোই ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে পারবে না’ এমন অসংখ্য ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা সংহতি সমাবেশে অবস্থান করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিন মুসলিমদের ভূমি, কোরআনে বর্ণিত পবিত্র ভূমি, আকসা মুসলিমদের কেবলা। ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদ থেকে আমরা এই ভূমির স্বাধীনতা চাই। মুসলিমদের ভূমি মুসলিমদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের এই আঘাত নিজেদের ভূমিকে স্বাধীন করার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। আজাদী লড়াই। স্বাধীনতার লড়াই কখনো সন্ত্রাসবাদ হতে পারে না।

সমাবেশে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সায়েম মুহাইমিন বলেন, আপনারা জানেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ এক পাক্ষিক। আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গাজা বিশ্ববিদ্যালয়’ সন্ত্রাসী ইসরায়েল বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই, আমরা গাজার সব ভাই ও বোনদের পাশে আছি। আমরা গাজার প্রতিটি শিশুর অদম্য স্বপ্নের ভিতর বাঁচি। আমরা বলতে চাই, আমরা ইব্রাহিমের ঈমান, ইসমাঈলের ইখলাস নিয়ে বাঁচি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোহাগ আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল যে বর্বর হামলা চালিয়েছে তাতেও আমরা নিশ্চুপ। ২৩ লাখ মানুষকে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে দখলদার ইসরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিনের ওপর নির্যাতন করে আসছে। নেতানিয়াহু নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করছে। একজন মুসলিম হিসেবে আপনি, আমি চুপ থাকতে পারি না। কাল হাশরের ময়দানে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, তোমরা এই পবিত্র ভূমি থেকে চলে যাও, ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দাও।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ ইসলাহী বলেন, আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন এই পৃথিবীর ইতিহাস মুসলমানদের নির্যাতিত হওয়ার ইতিহাস। যুগে যুগে যখনই মুসলমানদের ওপর এমন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তখন সারা পৃথিবীর সব অমুসলিম শক্তি একত্র হয়ে মুসলমানদের ওপর হামলা করেছে। সেসব হামলার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রতিশোধের আগুন নিয়ে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা সেই নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা আজকে আমাদের এই সংহতি সমাবেশ থেকে জানিয়ে দিতে চাই, পৃথিবীর যে প্রান্তেই যখন কোনো মুসলমান নির্যাতিত হবে আমাদের অবস্থান সব সময়েই সব নির্যাতিত মানুষের পক্ষেই থাকবে।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়াই ছিলো শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য: মামুনুল হক

বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়াই ছিলো শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য: মামুনুল হক