অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর গতি নিয়ে অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত, প্রতি বছর দশ লাখ অভিবাসী ফেরত পাঠানোর টার্গেট নেন তিনি। সেই লক্ষ্য পূরণে বাউন্টি হান্টারদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) প্রশাসন ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য অনুযায়ী বছরে এক মিলিয়ন অভিবাসীকে বহিষ্কারের হার না পৌঁছানোর কারণে নতুন উদ্যোগ খুঁজছে।
সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুসারে, আইসিই প্রাইভেট কোম্পানি বা বাউন্টি হান্টারদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে, যারা অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থান খুঁজে বের করে তাদের বহিষ্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে।
আইসিই আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে ১০ হাজার অভিবাসীর তথ্য প্যাকেজ প্রদান করবে এবং ধাপে ধাপে সংখ্যা এক মিলিয়ন পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। বাউন্টি হান্টারদের কাজ হবে প্রদত্ত ঠিকানা—বাসস্থান বা কর্মস্থল—সত্যতা যাচাই করা। ঠিকানা ভুল হলে, নতুন অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যা ব্যক্তির ফোন, প্রোপার্টি, যানবাহন এবং সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
তদন্ত এবং যাচাইয়ের জন্য আইসিই সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে; যেমন রিয়েল-টাইম স্কিপ ট্রেসিং এবং ফোন ট্র্যাকিং সফটওয়্যার। এছাড়াও, বাউন্টি হান্টারদের কার্যসম্পাদনের ভিত্তিতে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হবে, যেমন প্রথমবার ঠিকানা সঠিকভাবে সনাক্ত করা বা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ৯০% লক্ষ্যস্থল খুঁজে বের করা।
নিউ ইয়র্কের অভিবাসন আইনজীবী লাতোয়া ম্যাকবিন পম্পি সতর্ক করেছেন, 'এই প্রস্তাবনা খুবই বিপজ্জনক। এতে ঠিকানা সনাক্ত করার জন্য অর্থনৈতিক পুরস্কার দেয়া হবে, যা মানুষের জীবনের মান কমিয়ে দেবে এবং ভুলভাবে নাগরিক বা বৈধ অভিবাসীরও লক্ষ্য হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।'
নিউজ ডেস্ক
সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন