দেশব্যাপী অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে জেলায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, আতঙ্ক নয়, এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা।
এই প্রেক্ষাপটে বসুন্ধরা শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করে।
আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর সাতমাথা চত্বরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতমাথা দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরুল হাসান কল্লোল, সাতমাথা উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেলিম, ঠিকাদার বিমল চন্দ্র, ভাই ভাই হোটেলের পরিচালক শামীম আশরাফ, গোলাম রব্বানী, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, বসুন্ধরা শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিম হাসান, অর্থ সম্পাদক সোহাগ কুমার দাশ ও স্কুল সমন্বয়ক গোলজার রহমান।
লিফলেটে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:
অসুস্থ গবাদিপশু কখনোই জবাই করবেন না।
মৃত পশুর মাংস, চামড়া বা রক্ত স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক পশু বা রোগী দেখলে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস বা স্বাস্থ্যকর্মীকে দ্রুত জানান।
পশুকে নিয়মিত টিকা দিন, বিশেষ করে বর্ষার আগে।
মৃত পশু অন্তত ৬ ফুট গভীরে পুঁতে ফেলুন এবং চুন ছিটিয়ে দিন।
নতুন পশু কেনার আগে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খামার পরিষ্কার রাখুন ও নিয়মিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত এলাকায় পশু চলাচল ও বিক্রি বন্ধ রাখুন।
কসাই, খামারি ও মাংস বিক্রেতারা গ্লাভস, মাস্ক ও বুট ব্যবহার করুন।
যে কোনো ধরনের মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করে খান।
বসুন্ধরা শুভসংঘের নেতৃবৃন্দ বলেন, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ সম্ভব যদি আমরা সবাই সচেতন হই।
আতঙ্ক নয়, তথ্যভিত্তিক সতর্কতাই এই রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।