মিরপুর-১৩ এলাকার সেলিনা রহমান। দুই সন্তানের টাইফয়েডের টিকা দেওয়ার জন্য তিনি ভ্যাক্সইপিআই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ওয়েবসাইটে বাসার কাছের টিকাকেন্দ্র হিসেবে যে প্রতিষ্ঠান দেখিয়েছে, সেটিও তিনি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, টিকা দেওয়া হচ্ছে না।
শুধু তাই নয়—ওই কেন্দ্রের কেউই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১৩-এর সরকারি ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সেলিনা রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি গতকাল রবিবারও একই কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন অভিভাবক ছিলেন।
কিন্তু কেউ কোনো তথ্য পাননি। শেষ পর্যন্ত সবাই হতাশ হয়ে ফিরে যান। আজও তিনি গিয়েছিলেন কিন্তু হাসপাতালের কেউ কিছু জানেনই না।
গতকাল (১২ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
টিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনই প্রায় ১০ লাখের বেশি শিশু টিকা নিয়েছে।
সরকারি ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ জানায়, টিকা দেওয়ার সক্ষমতা তাদের আছে, কিন্তু টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা বা চিঠি তারা পাননি। ভ্যাক্সইপিআই ওয়েবসাইটে কেন্দ্র হিসেবে তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টিও তারা জানেন না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাসব্যাপী এই টিকা প্রদান কর্মসূচি চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনা মূল্যে এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে।