টানা দুই দিন ঢাকার বাতাস সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ঢাকার বায়ুমানে ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৩৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বায়ুর নির্দেশক। এদিকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ছিল ৭৩।
বায়ুদূষণের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এর আগে সোমবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ২৪ তম ছিল ঢাকা।
গতকালের মতো মঙ্গলবার বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ২৪৪, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। বাংলাদেশ ছাড়া শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি, ভারতের দিল্লি, সেনেগালের ডাকার। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৬১,১৫১ ও ১৪৭ বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।