ঢাকা | |

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বরগুনার বেতাগীতে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার
  • আপলোড সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ৪:৫৬ সময়
  • আপডেট সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ৪:৫৬ সময়
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছবি : সংগৃহীত

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বরগুনার বেতাগীতে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার সকল মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেন এবং শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।


কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে। সোমবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে।  পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান জানায়, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এ সময় উপজেলার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জমির উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোড়া কালিকাবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোকামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিএলবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিদ্যালয়গুলোর সামনে শিক্ষকরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।


 

এ সময় শিক্ষার্থীরাও তাদের শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা ‘শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করো’, ‘২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা দিতে হবে’—এসব স্লোগান দিতে থাকে।


শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা অপরিবর্তিত থাকায় শিক্ষকরা কঠিন আর্থিক সংকটে পড়েছেন।


তারা সরকারের কাছে দাবি জানান, দ্রুত ভাতা বৃদ্ধি করে ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। বেতাগী উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। যদি দ্রুত দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা জেলা পর্যায়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’


অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি। তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হলে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।


  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: নিউজ ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স