ঢাকা | |

রামুতে মৌসুম ছাড়াই তরমুজ চাষে আনোয়ারের সাফল্য

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাপিতেরচর এলাকায় মৌসুম ছাড়াই তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন।
  • আপলোড সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ৪:৫৮ সময়
  • আপডেট সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ৪:৫৮ সময়
রামুতে মৌসুম ছাড়াই তরমুজ চাষে আনোয়ারের সাফল্য ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাপিতেরচর এলাকায় মৌসুম ছাড়াই তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন। মাত্র ৩০ শতক জমিতে বিশেষ পদ্ধতিতে চারা রোপণের মাধ্যমে বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। তরমুজ এখনো পুরোপুরি সংগ্রহ করা না হলেও প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হবে বলে আশাবাদী তিনি।


আনোয়ার জানান, প্রথমে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে জমি প্রস্তুত করা হয়।


এরপর মালচিং পেপার বিছিয়ে গাছের গোড়ায় সুরক্ষা দেওয়া হয়। ১২ দিন পর রোপণ করা হয় তরমুজের চারা। চারা রোপণের পর নিয়মিত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা হয়। গাছ লাগানোর ৪০ থেকে ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ফসল উত্তোলন শুরু হয়নি।

তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তরমুজ সংগ্রহ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

তিনি উল্লেখ করেন, তার ক্ষেতে দুই ধরনের (রঙ্গিলা ও রংধনু) তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ‘রঙ্গিলা’ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ, ভেতরের অংশ লাল এবং ‘রংধনু’ তরমুজের বাইরের অংশ সবুজ, ভেতরের অংশ হলুদ। প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন প্রায় ৩ কেজি।


বাজারে প্রতি কেজির দাম ধরা হচ্ছে ৮০ টাকা। এর ভিত্তিতে, একটি তরমুজ থেকে গড়ে ২৪০ টাকা আয় হবে। যেখানে উৎপাদন খরচ মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পুরো চাষে আনোয়ারের ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা। এই সাফল্যের পেছনে সহায়তা করেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবাইদুল হক।


তিনি মাঠপর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগও বজায় রেখেছেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছরের সফলতা দেখে আগামী বছর বড় পরিসরে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করেছি। এখন কৃষিকাজ শুধু চাষ নয়, এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।’ 


উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবাইদুল হক বলেন, ‘বিনা মৌসুমে তরমুজ চাষে মালচিং পেপার ব্যবহার রোগবালাই কমাতে সহায়ক হয়েছে। আনোয়ারের সফলতা অন্য কৃষকদেরও উৎসাহ দেবে।’


রামুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুশান্ত দেবনাথ বলেন, ‘মৌসুম ছাড়াই এই ধরনের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারেন।’ পাশাপাশি প্রযুক্তি ও পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামানিক বলেন, ‘এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ। জলবায়ু ও জমির উপযোগিতা যাচাই করে এমন চাষাবাদে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। তরমুজ চাষে এ ধরনের সফলতা ভবিষ্যতে কৃষিতে বৈচিত্র্য আনবে।’

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: নিউজ ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স