ঢাকা | |

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে তিন উপজেলার বাসিন্দারা

সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ- ১ (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের চার ইউনিয়ন) এর সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে ইছামতি
  • আপলোড সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল ৫:১৩ সময়
  • আপডেট সময় : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল ৫:১৩ সময়
সেতুর অভাবে দুর্ভোগে তিন উপজেলার বাসিন্দারা ছবি : সংগৃহীত

সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ- ১ (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের চার ইউনিয়ন) এর সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে ইছামতি নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে ভুক্তভোগী মানুষেরা ইছামতি নদীর উপর ওই ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো পর্যন্ত  নির্মিত হয়নি। রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকার এক ব্যক্তি। তিনি টাকার বিনিময়ে মানুষজন পারাপার করেন।


তবে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে খালি রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল পারাপার হলেও মালামাল নিয়ে ওইসব পরিবহন যেতে পারে না।  ওই ঘাটের সাঁকো নির্মাতা রফিক মিয়া বলেন, ‘জন্মের পর থেকে এই ঘাট দিয়ে দেখছি হাজারো মানুষ চলাচল করে। বর্ষাকালে খেয়া নৌকায় পার হতে হয়। পাশের বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারী, মথুরাপুর, কাশিয়াহাটা, বিষার দিয়ার, শালুয়াবাড়ীসহ আট থেকে দশ গ্রামের মানুষও পূর্বদিকে এই ঘাট ব্যবহার করে চলাচল করে।


বিখ্যাত রতনকান্দি হাটে আসতে তাদের এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। অথচ এখানে ব্রিজ নাই। তাই  অস্থায়ী একটি সাঁকো তৈরি করে মানুষের যাতায়াতে সহযোগিতা করছি।’ 

ঘাটের নিকটেই এক সময় বাড়ি ছিলো একডালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের। গত কয়েক বছর পূর্বে ইছামতির ভাঙনের কবে পড়লে তিনি সেখান থেকে নদীর পশ্চিম পাড়ে গিয়ে বাড়ি করেছেন। এ কারণে প্রতিদিনই তাকে আট থেকে দশবার এই ঘাট ব্যবহার করে চলাচল করতে হয়। তিনি বলেন, ‘বর্ষার সময় এবার কচুরিপানার চাপে অস্থায়ী সাঁকোটি দুইবার করে উপড়ে গেছিলো। নৌকায় পারাপারেও সময় ও শ্রম অনেক বেশি লাগে। সব মিলে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। অশীতিপর বৃদ্ধ দবির মিয়া জানান, ‘অনেক ঝুঁকি নিয়ে ওই চার (সাঁকো) পার হয়ে এপার আসা লাগে।। দ্যাশে এতো উন্নতি হইলো, কিন্তুক আমাগোরে এই ঘাটে একটা পাকা ব্রিজ হইলো না। মরার আগে হলেও এইহানে একটি পাকা ব্রিজ দেখতে চাই।’ 

 

ধুনটের খাটিয়ামারী গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, রতনকান্দি হাট, একডালা হাট, সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজিপুরের সাথে যোগাযোগের জন্যে কয়েক গ্রামের মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করে। কিন্তু বর্ষাকালে ফসলাদি নিয়ে নদী পারাপারে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে এই ঘাটে। একটি পাকা ব্রিজ হলে কষ্ট দূর হতো।  


একডালা গ্রামের স্থানীয় মুরব্বি পামছা শেখ এবং চাঁন মিয়া বলেন, ‘আমাদের গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবার ইছামতি নদীর পশ্চিমের চরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেখানে এখন স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা গড়ে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। একটি পাকা ব্রিজ এইখানে দরকার।’ 


সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, বিষয়টি জেনেছি। শিগগিরই সমীক্ষা চালানো হবে। এরপর বরাদ্দ সাপেক্ষে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: নিউজ ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স