ঢাকা | |

ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠকে যা বললেন রাজনৈতিক দলের নেতারা

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে
  • আপলোড সময় : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:২০ সময়
  • আপডেট সময় : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:২০ সময়
ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠকে যা বললেন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছবি : সংগৃহীত

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করছেন কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটিই ছিল দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক।


এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন। সবশেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সনদের বিভিন্ন দিক ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।


বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আলোচনায় ভিন্নমত থাকবেই। সবাই সব প্রস্তাবে একমত হলে তো আলোচনার প্রয়োজন ছিল না। ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাব কেতাবি ছিল, যা বাস্তবের সঙ্গে যায় না। নোট অফ ডিসেন্টসহ জুলাই সনদে সবাই সাক্ষর করবে। জনগণের ম্যান্ডেড নিয়েই সেই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।


তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদীন একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকলে যেসকল সমস্যা হয় তা হয়েছে। তাই শুরু থেকেই একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছিলো। ভোট বিলম্বিত হলে আরও বেশী সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই। এ সময় পতিত স্বৈরাচারকে আরও কখনো সুযোগ নিতে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের মাত্র চারমাস বাকি রয়েছে। দুইমাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আরেকটি বিশাল আয়োজন করা কতটুকু বাস্তবসম্মত? তাছাড়া, এটির ফলাফল একই হবে। কারণ সবাই সংস্কারের পক্ষে। সেহেতু এখানে খুব বেশি নেগেটিভ ভোট পড়বে না।


জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দলগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। মতের পার্থক্য অনেকক্ষেত্রে ঐক্যকে সুদৃঢ় করে। একমত হওয়া বিষয়গুলো নিয়েই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করবো। গণভোট জাতির ম্যান্ডেট পাওয়ার একটি মাধ্যম। তাই এটিকে বিলম্ব করার কোনও সুযোগ নেই। নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জুলাই সনদের স্বাক্ষরের পর গণভোট ও নির্বাচনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।


এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জাতিকে অস্পষ্ট রেখে কোনও উদ্যোগকে সফল সম্ভব নয়। জুলাই সনদের খসড়ায় নোট অব ডিসেন্টের বিষয়গুলোকে পরিষ্কার করা হয়নি। এগুলোর একটি সংজ্ঞায়ন বা বাস্তবায়নের পথরেখা প্রয়োজন। এনসিপি পক্ষ থেকে আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এ সময় গনভোটে কি প্রশ্ন থাকবে তা স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই অভ্যুত্থান একটি ডিরেকশন তৈরি করে দিয়েছে। অনেকগুলো বিষয়ে মতের পার্থক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বৈপ্লবিক পথে যাব নাকি সংবিধানকে বিবেচনায় রেখে বৈপ্লবিক লক্ষ্য পূরণ করবো তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সমষ্টিগতভাবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।


আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছেন মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, অনেকগুলো বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও তা নিরসনে কাজ করবো। কমিশনে দলগুলোর নিজেদের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করে। কিন্তু বাহিরে দলগুলোর মধ্যে বিভেদ দেখা যায়। এর ফলে জাতি শঙ্কিত হয়।


প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: নিউজ ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
আশুলিয়ায় গভীর রাতে আগুনে পুড়লো ১৬টি দোকান

আশুলিয়ায় গভীর রাতে আগুনে পুড়লো ১৬টি দোকান