ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ২০ ঘণ্টা পরও সেখানে ধোঁয়ার কুয়াশা ছড়াতে দেখা গেছে।
রোববার সকালে স্থানটি পরিদর্শন করে জানা যায় যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, সকাল সাড়ে ১০টায়, "আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নিভানোর জন্য আরও কতটা সময় লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।"
শনিবার দুপুর ২টার কিছু পরে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের কুরিয়ার গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তা পুরো কমপ্লেক্সে ছড়িয়ে পড়ে।
এই দুর্ঘটনার ফলে অনেক ফ্লাইট বাতিল হয়, তবে রাত ৯টার দিকে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয়। আগুনের ব্যাপকতা না বাড়ানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস রাতেই জানিয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ঘটনাস্থলের কাছেই অবস্থিত একটি সি অ্যান্ড এফ কোম্পানির কর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, "আগুনের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেক আমদানি করা মালামাল পুড়ে গিয়েছে, এতে আমরা বেশ চিন্তিত।"
ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। ঢাকার ফ্লাইটগুলি সিলেট ও চট্টগ্রামে ডাইভার্ট হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রী মাহমুদুল ইসলাম জানান, "আমার পরিবারে একটি অনুষ্ঠান ছিল ঢাকায়, কিন্তু এই দুর্ঘটনার কারণে আমি সেই অনুষ্ঠানটি মিস করেছি।
“শাহ আমানত বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী একই সমস্যায় পড়েছেন।”
আগুনের উৎস ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সরকারি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি তদন্তে অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।