ঢাকা | |

স্বর্ণের লোভে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূ জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা
  • আপলোড সময় : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:২২ সময়
  • আপডেট সময় : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:২২ সময়
স্বর্ণের লোভে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূ জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে তানহা আক্তার মীমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা পারভেজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নিহত তানহার মামাতো ভাই।


শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, টাকার অভাবে মামার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করতে গিয়ে সে তার মামি ও মামাতো বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পারভেজের কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা এবং লক্ষ্মীপুরে দুটি দোকানে বিক্রি করা আরো এক ভরি স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।


গ্রেপ্তার পারভেজ রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর মহাদের বাড়ির আব্দুল করিমের ছেলে। 


প্রেস ব্রিফিংয়ে পারভেজের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘাতক পারভেজ দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে লক্ষ্মীপুরে আসে। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের চাপ ও তার ব্যাংক হিসেবে থাকা টাকা তুলতে পারছিল না। এতে সে আর্থিক অভাবে পরে।


অভাবের তাড়নায় সে তার মামার বাসা থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন ৯ অক্টোবর বিকালে সে বাজার থেকে একটি চাকু কিনে আমড়া ও আপেল নিয়ে তার মামার বাড়িতে যায়। পরে সে তার মামি ও মামাতো বোনকে আমড়া ও আপেল খেতে দেয়। পরে সে মীমের সঙ্গে বাসার দ্বিতীয় তলায় যায়।


সেখানে মীম তার হাতে ছুরি দেখে চিৎকার দেয়।

এদিকে ছুরির বিষয়টি মীম তার মাকে বলে দিতে পারে, এ ভয়ে সে মীমকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার মামী জুলেখাকেও একইভাবে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসায় থাকা সে স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।


অন্যদিকে ঘটনার পর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পারভেজকে ঘটনার ৭ দিন পর রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এসময় তার কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। তার তথ্য অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরে দুটি দোকানে বিক্রি করা আরো ১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

এসপি বলেন, হত্যা মামলায় পারভেজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পারভেজ একাই পর্যায়ক্রমে তার মামি ও মামাতো বোনকে হত্যা করে।


প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর রামগঞ্জ উপজেলায় উত্তর চন্ডীপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা ও মেয়ে কলেজছাত্রী মীমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে ঘাতক পারভেজ বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ব্যবসায়ী মিজান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: নিউজ ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স