সরকার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কিলার বাদল’ (ঘোষণা: ২০০২) ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কারামুক্তির পর আত্মগোপনে চলে যায় এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার পুরনো সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে তোলে। তিনি সরাসরি মাঠে না থাকলেও, একাধিক সহযোগীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসিলা আর্মি ক্যাম্পের একটি দল মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে কিলার বাদলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত মোল্লা রুবেল (৩৫) ও তার সহযোগী আল আমিন (৪৫)-কে গ্রেফতার করা হয়।
মোল্লা রুবেল কিলার বাদলের আর্থিক লেনদেন ও সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি ‘কিলার বাদলের ক্যাশিয়ার’ হিসেবে অনেকের কাছে পরিচিত।
প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, মোল্লা রুবেল কিলার বাদলের সঙ্গে যুক্ত অনেকগুলো হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত এবং এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া আল আমিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু চাঁদাবাজির অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে, যা কিলার বাদলের সক্রিয় নেটওয়ার্কের বর্তমান অবস্থা ও সদস্যদের শনাক্তকরণে সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান “সরকার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার বাদলের নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। সেই অনুযায়ী আমরা গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মোল্লা রুবেল ও তার সহযোগীর অবস্থান শনাক্ত করি। তারপর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সবসময় কঠোর অবস্থানে আছে। এই নেটওয়ার্কের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।"
গ্রেফতারকৃত দুইজনকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।